মাঝে কিছুদিন এটিএম জালিয়াতি বন্ধ ছিল। অন্তত সেভাবে অহরহ হচ্ছিল না। অনেকেই এখন বুঝে গেছেন এটিএম সংক্রান্ত কোনও তথ্য ফোনে কেউ চাইলে দিতে নেই। ব্যাঙ্কও বদলেছে এটিএম কার্ড। এখন চিপ বসানো এটিএম কার্ড অনেক বেশি সুরক্ষিত বলে দাবি করছে তারা। কিন্তু এত সুরক্ষা বলয় তৈরি করেও ফের কলকাতায় এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটল। একজন, দুজন নন, গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ৩০ জন গ্রাহকের টাকা গায়েব হয়েছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কাছে যে এসএমএস ঢুকেছে সেখানে দেখা গেছে দিল্লির একটি এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে।
গত রবিবার ও সোমবার মিলিয়ে যাদবপুর এলাকার এইসব রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মাইনে যে অ্যাকাউন্টে পড়ে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়েছে। অথচ তাঁরা কাউকে কোনও তথ্য দেননি। এই ঘটনার পর যাদবপুর এলাকার এটিএমগুলিও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে সেখানে কার্ড ক্লোনিং করা হয়নি। কার্ড ক্লোনিং হয়নি, পিন নম্বর কেউ চায়নি, তাও গায়েব হাজার হাজার টাকা!
পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে এভাবে টাকা গায়েবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে অন্য কোনও উপায় বার করে ফেলেছে জালিয়াতরা? এভাবে টাকা গায়েব হচ্ছে কীভাবে? যেসব গ্রাহকদের টাকা গেছে তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্যাঙ্কেও পুরো বিষয় জানিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের টাকা আদৌ ফেরত পাবেন কী? এই প্রশ্নই বারবার বেরিয়ে আসছে তাঁদের মুখ থেকে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে যাদবপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে এই নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যাঁদের ব্যাঙ্কে টাকা রয়েছে তাঁরা অত্যন্ত আতঙ্কিত।