অশনির প্রভাবে শুরু বৃষ্টি, ঝড় ডাঙায় উঠবে কিনা জানাল হাওয়া অফিস
অশনি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে এগোচ্ছে। যার জেরে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কলকাতার অনেক রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে।
গত কয়েক বছরে মে মাসে একটা করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছে ভারতের পূর্ব উপকূলে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এসব ঘূর্ণিঝড় কখনও বাংলায় আঘাত হানছে তো কখনও ওড়িশায়।
২০১৯ সালের ৩ মে ওড়িশার পুরীর কাছে আছড়ে পড়েছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। ২০২০ সালের আম্ফানের কথা সকলের জানা। যা বাংলার ওপর আছড়ে পড়ে। ২০ মে আম্ফান আছড়ে পড়ে স্থলভাগে।
তারপরের বছর যশ ঘূর্ণিঝড় ২৬ মে আছড়ে পড়ে ওড়িশার বালাসোরে। যার প্রবল প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। এবার ২০২২ সালে উত্তর ভারতমহাসাগরে এই সাইক্লোন তৈরির মরসুমে ফের জন্ম নিয়েছে এক ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় অশনি।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে অশনি সোমবার ভোরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে এগোচ্ছে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক বরাবর। ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এটি এগোতে শুরু করেছে।
অশনির প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল মেঘে ঢাকা। সকালেই বৃষ্টিও শুরু হয়।
কলকাতায় এদিন টানা প্রায় ২ ঘণ্টা বৃষ্টি চলে। অনেক রাস্তা এর জেরে জলের তলায় চলে গেছে। মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। যা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে।
আবহবিদেরা অবশ্য জানাচ্ছেন অশনি আদৌ স্থলভাগে আছড়ে পড়বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ স্থলভাগে ঢোকার আগে তাকে ভারতের পূর্ব উপকূলে একটি বিপরীত বায়ুপ্রবাহের মুখে পড়তে হবে। যার জেরে তা স্থলভাগে প্রবেশ করার আগেই মুখ ঘোরাতে হয়তো বাধ্য হবে।
এভাবে তা সমুদ্রের ওপরই শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব আর দেখা যাবে না। তবে বৃষ্টি হবে।
মৎস্যজীবীদের ১২ মে পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যেতে মানা করেছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে অশনি আদৌ আছড়ে পড়বে কিনা জানা না থাকলেও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তৎপর রয়েছে নবান্ন। উপকূলীয় জেলাগুলিতে যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা