চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়, শক্তি বাড়িয়ে এখন স্থলভাগে আছড়ে পড়ার অপেক্ষা
দেশে বর্ষা প্রবেশের মুখেই ফের একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হল। যা এখনও সমুদ্রের ওপর থাকলেও শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। যা অবশ্যই চিন্তার কারণ।
গ্রীষ্মের প্রায় শেষপ্রান্তে পৌঁছে এক নতুন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হল। যার নাম দেওয়া হয়েছে বিপর্যয়। বিপর্যয় শব্দটা বাংলার মানুষের চেনা। এই ঘূর্ণিঝড় যে চেহারা নিচ্ছে তাতে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী বলেই মনে করছেন সকলে।
ঘূর্ণিঝড়টি এখন দ্রুত শক্তি বাড়াচ্ছে। এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। আরবসাগরের ওপরে চলতি মরসুমে এটাই প্রথম ঘূর্ণিঝড়।
বঙ্গোপসাগরে যেভাবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জন্ম নেয়, আরবসাগরে তেমনটা হয়না। সেই আরবসাগরে তৈরি হওয়া বিপর্যয় কিন্তু ক্রমশ উত্তরের দিকে এগোচ্ছে। যা গোয়া, মুম্বই থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবন মনে করছে এটি ক্রমশ উত্তরে যেতে থাকলে তা পাকিস্তানের দিকে চলে যেতে পারে। তবে তার প্রভাব ভারতের গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে পড়বে।
বিপর্যয় শক্তি বাড়াতে থাকায় ভারতে বর্ষার প্রবেশ আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। কেরালায় এমনিতেই গত ৪ জুন বর্ষা প্রবেশের কথা থাকলেও তা হয়নি।
এই ঘূর্ণিঝড় আরও ২ থেকে ৩ দিন বর্ষার প্রবেশ পিছিয়ে দিতে পারে। মুম্বই শহরেও ১৫ জুন বর্ষা প্রবেশ করতে পারবে বলে মনে করছেন না আবহবিদেরা।
এদিকে বিপর্যয়ের প্রভাবে কোঙ্কণ উপকূলের অনেক জায়গায় বৃষ্টি বাড়বে। মুম্বইতেও আগামী ১২ জুন পর্যন্ত ভাল বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। এদিকে বিপর্যয়-এর গতি প্রকৃতির দিকে কড়া নজর রেখেছে মৌসম ভবন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা