অতিশক্তিশালী হয়ে উঠল বিপর্যয়, কবে কোথায় আছড়ে পড়বে জানাল আবহাওয়া দফতর
বিপর্যয় যে কতটা বিপর্যয় আনতে চলেছে তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে তার শক্তি আরও বেড়ে এখন সমুদ্রের ওপর তা অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে।
যত দিন যাচ্ছে সমুদ্রের ওপর শক্তি বাড়িয়েই চলেছে বিপর্যয়। এখন তার এগোনোর গতিও অতি মন্থর। প্রায় একই জায়গায় সামান্য করে এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আর দিনে দিনে শক্তি বাড়িয়েই চলেছে।
অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে ওঠা বিপর্যয় কবে কোথায় আছড়ে পড়বে তার একটা পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে বিপর্যয় যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তা উত্তর দিকে ধাবিত হবে। তারপর গিয়ে আছড়ে পড়বে আরবসাগরের তীরে ভারত লাগোয়া পাকিস্তানে।
তবে শুধু পাকিস্তান বলেই নয়, গুজরাটের সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছেও একইভাবে স্থলভাগে প্রবেশের তাণ্ডব চালাবে বিপর্যয়। তাই এই অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আগামী ১৫ জুন বিপর্যয় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে। তার আগেই বিপর্যয় সামাল দিতে সব রকম প্রস্তুতি গুজরাট সরকারকে নিয়ে নিতে হবে।
বন্দরগুলিকেও বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ ক্রমে সেখানে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট বাড়তে থাকবে। সমুদ্র উত্তাল হতে থাকবে।
ইতিমধ্যেই ঢেউ উত্তাল হতে থাকায় গুজরাটের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত তিথাল বিচ পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
এমনকি বিপর্যয়ের জেরে কেরালা, কর্ণাটক, লাক্ষাদ্বীপ এবং গোয়া থেকেও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই আরবসাগর উত্তাল হতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সিন্ধ ও বালুচিস্তান-এর স্থানীয় প্রশাসনকে পাকিস্তান সরকারের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা