আরও কাছে ভয়ংকর বিপর্যয়, কমলা সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর
শক্তি বাড়িয়ে সমুদ্রের ওপর কার্যত ফুঁসছে বিপর্যয়। ১৫ জুন তা এ দেশের মাটিতেই আছড়ে পড়ার কথা। ইতিমধ্যেই কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
সাগরে দীর্ঘ সময় ধরে থাকা ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়-কে এখন এতটাই শক্তিশালী করে তুলেছে যে তা ভয়ংকর চেহারা নিয়ে ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। সমুদ্র ইতিমধ্যেই উত্তাল।
আবহবিদরা মনে করছেন বিপর্যয়ের উত্তরমুখী গতি ১৪ জুন একটু উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। তারপর তা গুজরাটের কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রের কাছে স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়া দফতর মনে করছে গুজরাটের মাণ্ডবী ও পাকিস্তানের করাচির মাঝে গুজরাটের জাখাউ বন্দর এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। যার প্রভাব ভয়ংকর হবে।
সমুদ্রের জল ইতিমধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ক্রমশ উত্তাল হচ্ছে আরবসাগরের জল। স্থলভাগে প্রবেশের সময় ঝড়ের গতি থাকতে পারে ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার। ঝড়ের সর্বোচ্চ দমকা ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।
মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে সমুদ্রের ধারে মানুষকে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।
গুজরাটের কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর, জামনগর, রাজকোট, জুনাগড়, মোরবি-তে আবহাওয়া দফতর প্রবল বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে।
বিপর্যয় প্রবেশের হাত ধরে ১৪ জুন থেকেই ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়বে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে। যা ১৫ জুন বিপর্যয় প্রবেশের পর চরম আকার নেবে।
১৫ জুন প্রবেশের পর সন্ধের পর থেকে ঝড়ের গতি ক্রমশ কমে আসবে। তবে বৃষ্টি হবে। বিপর্যয়ের ধাক্কা সামাল দিতে গুজরাট প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। বিপর্যয় গুজরাট লাগোয়া পাকিস্তানের উপকূলেও তাণ্ডব চালাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা