সমুদ্রে কিছু সাইক্লোন শক্তি হারায়। আবার কিছু সাইক্লোন শক্তি বাড়িয়েই এগিয়ে আসে স্থলভাগের দিকে। বুলবুল শক্তি বাড়িয়েই ধেয়ে আসছে সুন্দরবনের দিকে। আর তার জেরেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে ক্রমশ বৃষ্টি বাড়ছে। সমুদ্র সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে। ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। একদম সমুদ্রের তীরের কাছে থাকা কিছু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমুদ্রের ধার ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে কড়া নজর রাখা হয়েছে ঝড়ের গতি প্রকৃতির দিকে। রাতের অন্ধকার কাটার আগেই এই ঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা।
কলকাতাতেও ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালটা বৃষ্টি হয়নি। কেবল মেঘলা ছিল আকাশ। কিন্তু বেলা বাড়তেই কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়। ক্রমে তা বাড়তে থাকে। বিকেলের পর কলকাতা জুড়ে বৃষ্টি যেমন হয়েছে তেমনই মাঝেমধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। জোলো হাওয়ায় ঠান্ডার অনুভূতি ছিল। তবে তা শীতের অনুভূতি নয়। ভেজা ঠান্ডার অনুভূতি।
আবহবিদরা মনে করছেন কলকাতায় পৌঁছতে পৌঁছতে বুলবুল অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলবে। ফলে কলকাতায় ঝড়ের গতি থাকবে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। কিন্তু সেটাও নেহাত কম নয়। ইতিমধ্যেই শনিবার উপকূলীয় জেলাগুলি সহ কলকাতা, হাওড়ার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের ধারে গড়ে ওঠা পর্যটন ক্ষেত্র যেমন দিঘা, শঙ্করপুর, বকখালির মত জায়গাগুলিতে সমুদ্রের ধারে যেতে সকলকে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা নজর রাখছেন, কোনও পর্যটককে সমুদ্রের ধারেকাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।