অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্রমশ এগিয়ে আসছে সুন্দরবনের দিকে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে তা আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন ও লাগোয়া বাংলাদেশ উপকূলে। শনিবার সন্ধের মধ্যেই তা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা। এই মুহুর্তে বুলবুল বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে। কিছুটা ওড়িশা উপকূলের দিকে গিয়ে তা ঘুরে আসছে রাজ্যের দিকে। আর তার জেরেই যাবতীয় সতর্কতা জারি হয়েছে। এক দশক আগে আয়লা-র প্রভাব দেখেছে সুন্দরবন। সেই সবকিছু ধ্বংস করা আয়লার ধ্বংসলীলার প্রভাব থেকে বহুদিন পর্যন্ত বার হতে পারেননি সুন্দরবনের বহু মানুষ। এবার ধেয়ে আসছে বুলবুল। ক্রমশ তা শক্তি বাড়িয়ে চলায় চিন্তার ভাঁজ পুরু হচ্ছে।
সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর এই ঘূর্ণিঝড় কলকাতার দিকে এগোতে থাকবে। তবে স্থলভাগ দিয়ে যতই এগোবে ততই তা শক্তি হারাতে থাকবে। ফলে কলকাতায় পৌঁছলে বুলবুলের ঝড়ের গতি কমে দাঁড়াবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। যার কিছুটা ধ্বংসাত্মক প্রভাব তো পড়বে। যদিও তার আগে শুক্রবার থেকেই কলকাতায় বুলবুলের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ক্রমশ কালো হয়ে আসছে আকাশ। সঙ্গে দমকা হাওয়ার দাপট রয়েছে। শুক্রবার জনজীবন স্বাভাবিক থাকলেও শনিবার সকাল থেকে কিন্তু রাস্তায় বড় একটা লোকজনের দেখা নেই। গাড়িও কম। একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ঠান্ডা জোলো হাওয়া অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
কলকাতায় যেমন এদিন গাড়ির দেখা কম, তেমনই গঙ্গাও ফাঁকা। বুলবুল আসছে। ফলে উত্তাল হতে পারে গঙ্গা। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ফেরি চলাচল কলকাতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিভিন্ন রুটে যে গঙ্গার ওপর দিয়ে যে ফেরি চলাচল করে থাকে তা একদম বন্ধ হয়ে গেছে। গঙ্গায় নৌকারও বড় একটা দেখা নেই। এদিকে পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় কড়া নজরদারি রয়েছে।