প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার বন্দোবস্ত করল প্রশাসন। দেওয়া হল শুকনো খাবার। মূলত উপকূলীয় এলাকা থেকেই মানুষজনকে সরানো হয়েছে। বহু এলাকা ফাঁকা হয়ে গেছে। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করল প্রশাসন। এদিকে শনিবার যত বিকেল গড়িয়েছে ততই প্রবল হয়েছে উপকূলীয় এলাকায় হাওয়ার বেগ। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। তারসঙ্গে প্রবল বৃষ্টি চলছে। যেমন বেড়ে চলেছে ঝড়ের দাপট। তেমনই বাড়ছে তাল মিলিয়ে বৃষ্টি। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় বিকেলের পর এদিন অধিকাংশ জায়গায় স্থানীয় মানুষেরও দেখা মেলেনি। দোকানপাট বন্ধ। খাঁ খাঁ করছে চত্বর। শুধু একটানা ঝড় আর বৃষ্টির আওয়াজ।
বুলবুল যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তা মোটামুটি ৮টার পর যে কোনও মুহুর্তে সুন্দরবনের ওপর আছড়ে পড়তে পারে। সুন্দরবনের যে অংশ ভারতে রয়েছে সেই অংশ এবং বাংলাদেশেরও সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে বুলবুল। স্থলভাগে ঢোকার পর প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে সেটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে থাকবে। সমুদ্রে থেকে পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করতে সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘণ্টা।
স্থলভাগে প্রবেশ করে কিন্তু ক্রমশ দুর্বল হতে থাকবে বুলবুল। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কমতে থাকবে। ঝড়ের গতিও কমতে থাকবে। তবে বৃষ্টি থাকবে। কলকাতায় আসতে আসতে বুলবুলের গতি কমে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হয়ে যাবে। অথচ যখন তা স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন তার গতি থাকবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার মত। ফলে তার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ধ্বংসলীলার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকার অনেক জায়গা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা