অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কথা মাথায় রেখে দমদম বিমানবন্দরে ১২ ঘণ্টার জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যেভাবে ঝড় বইবে বলে পূর্বাভাস এবং যে বৃষ্টি সকাল থেকে চলছে তাতে বিমান ওঠানামা করানোর ঝুঁকি নিল না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দমদম বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়কে সামনে রেখে এমন দীর্ঘ সময়ের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ রাখার নজির অদূর অতীতে নেই।
বুলবুল ধেয়ে আসছে। এতেই মোটামুটি শনিবার সকাল থেকে কলকাতার জীবনযাত্রা স্তব্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে। রাস্তায় মানুষজনের বড় একটা দেখা নেই। বাস কম। গাড়ি নেই। অনেক রাস্তায় একটানা বৃষ্টির জেরে জল জমে গেছে। ক্রমশ ঝোড়ো হাওয়ার দাপট বাড়ছে। যে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে শনিবার বেলায় বালিগঞ্জে একটি গাছ উপড়ে যায়। সেটি গিয়ে পড়ে এক যুবকের ওপর। মৃত্যু হয় ওই যুবকের। বিকেলেও ঝোড়ো হাওয়ার ধাক্কা সামলাতে না পেরে বালিগঞ্জেই আরও একটি গাছ উপড়ে যায়। গিয়ে পড়ে একটি গাড়ির ওপর। তবে গাড়িতে তখন কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে গাড়িটি দুমড়ে গিয়েছে।
বুলবুলের প্রভাবে গঙ্গায় এদিন জলপথ পরিবহণ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। কোনও রুটে গঙ্গা পারাপার করেনি কোনও ফেরি। গঙ্গায় নৌকাও বড় একটা চলতে দেখা যায়নি। রিভার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে গঙ্গায় টহলদারি চলেছে। যত এদিন সন্ধে নেমেছে ততই গঙ্গা চেহারা বদলেছে। এদিকে সন্ধে নামার পর শহরে কিন্তু মানুষের দেখা মেলা কঠিন হয়েছে। শনিবারের ছুটির দিনেও সন্ধের কলকাতা এদিন ছিল নিস্তেজ। পার্ক স্ট্রিট চত্বর ছিল ফাঁকা। এদিকে নবান্নে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে সরকারে তরফে। সেখানে নিজে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মানুষজনকে এই সময়টা বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।