আবহাওয়া দফতর থেকে বারবারই জানানো হয়েছে যে শনিবার রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশের পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সেটাই মিলে গেল। রাত ৮টা বাজার মিনিট ১০ আগেই সাগরদ্বীপে প্রবল ঝড় বইতে শুরু করে। বৃষ্টি তো চলছিলই। তা প্রাবল্য বাড়ায়। ঝড়ের দাপট বাড়তে থাকে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে স্থলভাগে প্রথমে প্রবেশ করে ঝড়ের সামনের অংশ। তারপর ক্রমে সমুদ্র ছেড়ে স্থলভাগে ঢোকে সাইক্লোনের চোখ। তারপর তার পিছনে থাকা অংশ প্রবেশ করে। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৩ ঘণ্টার মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে ঝড়ের সামনের অংশ রাত ৮টার একটু আগেই স্থলভাগে প্রবেশ শুরু করে দেয়।
ঝড়ের প্রবল দাপটে উপকূলীয় এলাকায় একের পর এক গাছ ভেঙে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। প্রচুর কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে। চাল উড়ে গেছে। বিজ্ঞাপনের স্ট্যান্ড থেকে ফ্লেক্স জাতীয় জিনিসে বিজ্ঞাপন উড়ে গেছে। তছনছ হয়ে গেছে অনেক অস্থায়ী দোকান। উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রের ধারে কাছে কেউ নেই। অনেকেই আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড় কিন্তু বইতে থাকে। ক্রমশ তার তেজ বেড়েছে।
বুলবুল প্রবেশের পর এবার ক্রমে এগোতে থাকবে। যার জেরে রাতে কলকাতায় বৃষ্টি বাড়বে। ঝড়ও হবে। ঝড়ের গতি থাকবে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে। বৃষ্টিও হবে। ঝড়টি এরপর ক্রমে এগিয়ে কাল সকালের মধ্যে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার অনেকটা উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। বুলবুল দুর্বল হতে হতে ক্রমে বাংলাদেশ পার করে ত্রিপুরা পর্যন্ত যাবে।