রাত ৮টা থেকেই সাগরদ্বীপ, বকখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ের দাপট শুরু হয়ে গিয়েছিল। তখনই ঢুকে পড়ে ঝড়ের একদম সামনের দিক। তার কিছু পরেই আরও বেড়ে যায় ঝড়ের গতি। তখন ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে থাকে ঝড়। ঝড়ের ধাক্কায় অগুন্তি গাছ ভেঙে পড়তে থাকে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিশাল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেদিনীপুরের নয়াচর, নন্দীগ্রাম, খেজুরি সহ অন্যান্য এলাকা ঝড়ের কোপে পড়ে। বুলবুল তাণ্ডব চালাতে থাকে এসব এলাকায়। প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়তে থাকে। মানুষ প্রবল আতঙ্কের মধ্যে পড়েন। এদিকে ক্রমে ঝড় এগোতে থাকে সুন্দরবন হয়ে।
বুলবুল পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করতে রাত প্রায় ১২টার কাছ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ এখন বুলবুল তাণ্ডব চালাতে চালাতে স্থলভাগে প্রবেশ করেই চলেছে। উপকূলীয় এলাকায় ধ্বংসলীলা চলছে এটা পরিস্কার হলেও ক্ষয়ক্ষতি কত তা এখনও পরিস্কার নয়। রাতের অন্ধকার হওয়ায় সমস্যা আরও বেশি বেড়েছে। এই ঝড় এদিন সারারাত ধরেই এই রাজ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে থাকবে। কলকাতা কোর এলাকায় না পড়লেও ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্য সরকার। নবান্ন খোলা রয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখানে নিজে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন। রাতে সেখানেই থাকছেন তিনি। এদিকে ঝড় যেখানে যেখানে এসে পৌঁছচ্ছে সেখানেই তাণ্ডব চালাচ্ছে। যদিও তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে আপাতত শক্তি কমে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। বুলবুল যত স্থলভাগে প্রবেশ করবে এবং অবস্থান করবে ততই তার শক্তি কমবে। তবে এখন সবে স্থলভাগে প্রবেশের সময়টা উপকূলে প্রবল তাণ্ডব চালাচ্ছে এই ঝড়।