কোথা দিয়ে এবং কোন সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ করছে দানা, পর্যটক শূন্য পুরী
আপাতত খবরের শিরোনামে এবং মানুষের সবচেয়ে কৌতূহলের বিষয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঠিক কোথা দিয়ে কোন সময়ে স্থলভাগে প্রবেশ, কীভাবেই বা এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়।
বঙ্গোপসাগরে বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপটি। এখন তা উত্তর পশ্চিম দিক ধরে এগোচ্ছে। সমুদ্রের ওপর তার গতি ১৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দানা নামে এই ঘূর্ণিঝড়টি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে তা কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে তার সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করতে পেরেছেন আবহবিদেরা।
আবহাওয়া দফতর মনে করছে দানা-র যা গতিপথ তাতে সব ঠিক থাকলে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরা-র মাঝখান দিয়ে তা স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
এর জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হতে চলেছে ওড়িশা। পশ্চিমবঙ্গেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালাবে ঝড়। আবহাওয়া দফতর মনে করছে আগামী বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে যে কোনও সময়ে এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে।
পুরীতে প্রভাব পড়বে ঠিকই, তবে তা ধ্বংসাত্মক হবেনা বলেই অনুমান আবহবিদদের। এমনকি ভিতরকণিকা দিয়ে প্রবেশ করছে ভেবে তাঁরা কিছুটা খুশিও। কারণ ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের জন্য বিখ্যাত। আর যে কোনও সামুদ্রিক ঝড়কে প্রতিহত করতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ফলে অনেকে মনে করছেন ভিতরকণিকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করলে ঝড়টি শুরুতেই বাধার মুখে পড়বে। ফলে তার তাণ্ডব কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে। যা মানুষের জন্য ভাল।
আবহাওয়া দফতর মনে করছে যখন এই ঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন তার ঝড়ের গতি হবে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দমকা হাওয়ার গতি পৌঁছবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অতি প্রবল বৃষ্টিও হবে।
এদিকে বুধবার বেলা থেকে কলকাতায় বৃষ্টি নেমেছে। যদিও সেই সময় সাগর থেকেই ঝড়টি ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। কিন্তু তার জের কেবল উপকূল নয়, কলকাতাতেও প্রভাব ফেলা শুরু করে দেয়। এদিকে দানার কথা মাথায় রেখে পুরীকে পর্যটক শূন্য করেছে প্রশাসন।