National

সোমবারের মধ্যেই অতি ভয়ংকর সাইক্লোনের চেহারা নিতে চলেছে ‘ফণী’

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভয়ংকর সাইক্লোন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অতি ভয়ংকর সাইক্লোনের চেহারা নিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ক্রমশ নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে চেন্নাই থেকে ১ হাজার ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালির ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।

অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর তা শ্রীলঙ্কার দিকে এগোনোর কথা। তারপর সেখান থেকে মুখ ঘুরিয়ে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছবে আগামী ৩০ এপ্রিল। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তাই ওই ২ দিন তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা তো বটেই এমনকি অন্যান্য জায়গাতেও প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস।


ঘূর্ণিঝড় ফণী-র কথা মাথায় রেখে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, মছলিপত্তনম, কৃষ্ণাপত্তনম ও নিজামপত্তনম বন্দরে সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের গতি থাকবে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার মত। এখানে তাণ্ডব চালিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি মুখ ঘুরিয়ে ওড়িশা ও বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। ফলে পশ্চিমবঙ্গও এই ঘূর্ণিঝড় থেকে রেহাই পাবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে।

দাক্ষিণাত্যে তাণ্ডব চালানোর পর যদি ঘূর্ণিঝড় ফণী এগিয়ে এসেও পড়ে তখন তা শক্তি অনেকটাই হারাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলবে না। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি বেশি হবে উপকূলীয় এলাকায় বলে মনে করা হচ্ছে। বৈশাখের মধ্যভাগে এসে এখন মাথার ওপর সূর্য আগুন ঢালছে। রাতের তাপমাত্রাও বড় একটা নামছে না। ফলে প্রবল গরমে কার্যত হাঁসফাঁস করছেন শহরবাসী।


রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৪০-এর কাছে পৌঁছে গেছে পারদ। আর ক্রমশ তা চড়ছে। ফলে ফণী-র হাত ধরে যদি জলভরা মেঘ এই গরমে কিছুটা জল ঢেলে পরিবেশকে ঠান্ডা করে তাতে একেবারেই আপত্তি নেই মানুষের।

(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button