সকাল ৮টার পরই ওড়িশার পুরী হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। তখন কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেগ বাড়াতে শুরু করে। শহর কলকাতায় এদিন ভাল বৃষ্টি শুরু হয় ৯টার পর থেকেই। মাঝেমধ্যে বৃষ্টির প্রকোপ একটু কমলেও তা পরক্ষণেই বেড়েছে। আকাশও ভোরের দিকে সাধারণত মেঘলা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালো মেঘ ক্রমশ ঘন হতে থাকে।
কলকাতায় ফণীর প্রভাব পড়তে শুরু করে সকাল থেকেই। ঝড় আসতে এখনও দেরি আছে। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অনেকেই এদিন প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বার হওয়ার ঝুঁকি নেননি। তবে বেশ কিছু স্কুল খোলা ছিল। অফিস তো খোলাই। ফলে অফিস যাত্রীরা বেরিয়েছেন। যদিও সংখ্যায় কম। যাঁদের পক্ষে ছুটি নেওয়া সম্ভব তাঁরা এদিন ছুটি নিয়ে নেন।
বৃহস্পতিবারই কলকাতার বিভিন্ন বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির মধ্যেই পুলিশ ও পুরসভার তরফে মাইক নিয়ে প্রচারও করতে দেখা যায়। বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এমন দৃশ্য কিন্তু সুদূর অতীতেও দেখা গেছে কিনা শহরবাসীর মনে পড়ে না। এছাড়াও ল্যাম্পপোস্ট, বড় গাছ থেকে ঝড়ের সময় সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়।