ফণীর প্রভাবে দিঘা, মন্দারমণির মত রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনস্থলে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। হাল্কা হলেও বৃষ্টি হচ্ছিল। ঝোড়ো হাওয়াও ছিল। কাউকে সমুদ্রের ধারে যেতে দিচ্ছিল না প্রশাসন। সমুদ্র ক্রমশ উত্তাল হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবারই দিঘা ছেড়ে পর্যটকদের শুক্রবার সকালের মধ্যে চলে যেতে নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। হোটেলগুলিও খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার থেকে দিঘায় আর নতুন করে পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিলনা। আর যাঁরা দিঘায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা বেড়ানো ফেলে ঠিক করছিলেন কীভাবে ফিরবেন।
শুক্রবার সকালে কিন্তু অনেকগুলি বাসের বন্দোবস্ত হয় দিঘায় আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য। তাঁদের সেইসব বাসে দিঘা থেকে বার করে আনা হয়। এদিকে শুক্রবার সকালে ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর দিঘাতেও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। ঢেউ ফেঁপে শুরু হয় জলোচ্ছ্বাস। ফুঁসতে থাকা সমুদ্রের জল গার্ড ওয়াল পার করে রাস্তায় চলে আসতে থাকে। দিঘার সমুদ্রের ধার তো বটেই সারা বছর পর্যটকে থিকথিক করা দিঘা এদিন সকাল থেকে সুনসান চেহারা নেয়। একইভাবে মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মত পর্যটনক্ষেত্রগুলিও ফাঁকা। সেখানেও শুরু হয় সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি আর ঝড়।
ওড়িশায় ঢুকতে শুরু করা ফণী ঘুরে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু তার আগে থেকেই রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে তার তাণ্ডব টের পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে এদিন ১১টা নাগাদ একটি প্রবল ঝড়ও হয়। সামান্য সময়ের সেই ঝড়ে বেশ কিছু জায়গা তছনছ হয়ে গেছে। এছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপট যথেষ্ট।