শুক্রবার সন্ধেয় রাজ্যে প্রবেশ করবে ফণী। এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম থেকে রাজ্যে প্রবেশের সময় সেটি শক্তি কমিয়ে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম-এর চেহারা নেবে। ফলে ঝড়ের গতি কমে দাঁড়াবে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সন্ধের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়বে ফণী।
তবে ফণীর চোখ রাজ্যে ঢুকতে মধ্যরাত হয়ে যাবে। রাজ্যে প্রবেশের পর প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং সঙ্গে বৃষ্টি হবে। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানিয়ে দিলেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্জীববাবু এও জানান, সকালে ওড়িশায় প্রবেশ করা ফণী-র চোখও স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে। এখন তা ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে।
দুপুর ২টো নাগাদ ফণী কলকাতার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছিল। দূরত্ব ছিল ৩৭০ কিলোমিটার। অন্যদিকে দিঘার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থানরত ফণীর তখন দূরত্ব ছিল ২২৭ কিলোমিটার। ক্রমে ফণী রাজ্যের দিকে এগোবে ও রাজ্যের ওপর দিয়ে গিয়ে আরও দুর্বল হয়ে তা বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে।
তবে ফণীর প্রভাব রাজ্যে আগামী ৪ মে সন্ধে পর্যন্ত বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ৫ মে থেকে আকাশ পরিস্কার হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি চলবে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর ফণীর ঝড়ের গতি কমে হবে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
একটি ভয়ংকর সাইক্লোনের চোখ থেকে তার চারপাশে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ব্যাস পর্যন্ত ঘূর্ণি থাকে। এই পুরোটা নিয়েই সাইক্লোনটি তৈরি হয়। ফলে চোখ প্রথমেই ধাক্কা মারেনা। প্রথমে তার ব্যাস থেকে শুরু করে তারপর ক্রমে চোখ বা কেন্দ্রটি আসে। তারপর সেভাবেই তার লেজাটি ছেড়ে যায়। তাই সেই হিসাব মেনে শুক্রবার সন্ধেয় রাজ্যে ঢুকছে ফণী। এদিকে এদিন দুপুরের দিকে কিন্তু কলকাতার আকাশ কিছুটা পরিস্কার হয়ে যায়। সকালে যে পরিস্থিতি ছিল সেই কালো আকাশ ছিলনা। হয়নি সেই বৃষ্টিও।