ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ইতিমধ্যেই ওড়িশাকে কার্যত তছনছ করে দিয়েছে এই ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। ওড়িশা ছেড়ে এবার তা ক্রমশ রাজ্যে তাণ্ডব চালাবে। আসল তাণ্ডব শুরু হতে হতে মধ্যরাত হয়ে যাবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। তবে তার আগেই ফণীর ঝাপটা শুরু হয়ে গেছে। তার জেরে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও ঝড় শুরু হয়েছে সন্ধে থেকেই। দিঘায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ২ মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ।
যত রাত বাড়ছে ততই কলকাতায় ঝড় বৃষ্টি বাড়ছে। কলকাতায় সন্ধের পর থেকে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় অবস্থা শোচনীয়। সমুদ্রের জল ফুঁসছে। সঙ্গে ঝড়ের গর্জন। মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
কলকাতায় তো শুক্রবার সারাদিনই বিপজ্জনক বাড়ি থেকে লোকজনকে সরে যেতে অনুরোধ করে পুরসভা। কলকাতা পুলিশের তরফে গঙ্গার ধারেও মাইকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। সন্ধে নামার পর থেকেই কার্যত ফাঁকা হতে শুরু করে কলকাতা। বৃষ্টি শুরু হতে আরও ফাঁকা হয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদের ফলে প্রতি নিয়ত আপডেট হচ্ছেন শহরবাসী। আর তার জেরেই সন্ধে নামার পর থেকে ক্রমে বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা।
কলকাতায় প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সম্ভাবনার কথা এসএমএস করে গ্রাহকদের জানিয়েছে সিইএসসি। সারাক্ষণই সজাগ থাকছে তারা। বিদ্যুতের তার বা খুঁটি ঝড়ে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ে থাকে। সেকথা মাথায় রেখে তৈরি থাকছে সিইএসসির বিশেষজ্ঞ দল। গ্রাহকদের তা নিয়ে আশ্বস্তও করেছে সংস্থা। এদিকে কলকাতার বাইরে ঝোড়ো হাওয়ার প্রকোপ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বেড়েছে। বিশেষত উপকূলীয় জেলা ও তার সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড়ের মাতাল হাওয়া ক্রমশ আতঙ্ক বাড়িয়েছে।