ক্যাটাগরি ৪ ঘূর্ণিঝড় ফণী ওড়িশায় ধ্বংসলীলা চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যখন ঢোকে তখন তার শক্তিক্ষয় হয়েছে। ফলে যে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রাজ্য করছিল তা হয়নি। তবে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। খড়গপুর হয়ে আরামবাগ হয়ে নদিয়া হয়ে মুর্শিদাবাদের গা ঘেঁষে ফণী বাংলাদেশে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত যেখান যেখান দিয়ে সে গেছে সেখানে ভাল বৃষ্টি করিয়েছে। সেই ফণীর প্রভাব গিয়ে পড়ে প্রতিবেশি অসমেও।
ফণীর প্রভাবে অসমে শনিবার সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যেহেতু ফণী ঘূর্ণিঝড় থেকে এখন কেবল একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ফলে বৃষ্টি হয়েছে অসমের অধিকাংশ জায়গায়। অসমে প্রবল বৃষ্টির জেরে গুয়াহাটি, জোরহাট, মাজুলী, ধুবড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় শনি ও রবিবারের জন্য ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
ফণীর প্রভাবে অসমে যেভাবে শনিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেকথা মাথায় রেখে শনিবার বিকেল পর্যন্ত গুয়াহাটি বিমানবন্দরে যাবতীয় বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। যেমন গত শুক্রবার বিকেল ৩টে থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে করা হয়েছিল। এছাড়া রেল পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। কলকাতা ও ওড়িশামুখী সব ট্রেন বাতিল করেছে উত্তরপূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে।
আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়ে দিয়েছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও তুমুল বৃষ্টি হবে অসমের অধিকাংশ অংশে। শনি ও রবিবার এই বৃষ্টি চলবে। ফণী আসছে একথা জানার পরই অসম সরকারের তরফে জেলা প্রাশনগুলিকে সতর্ক করা হয়। তৈরি রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দল। গত শুক্রবার সকালে ওড়িশা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশের পর বিগত কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী সাইক্লোন ফণী এক ভয়ংকর তাণ্ডব চালায় ওড়িশার উপকূলীয় জেলাগুলিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা