ওড়িশায় প্রবেশ করেছিল শুক্রবার সকালে। তারপর দিনভর সেখানে তাণ্ডব চালিয়ে রাতে এসে পৌঁছয় পশ্চিমবঙ্গে। খড়গপুর দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে নদিয়া মুর্শিদাবাদ হয়ে বেলায় ফণী বাংলা ছেড়ে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ফণীর সতর্কতা আগেই ছিল। ফলে ১৬ লক্ষ মানুষকে সে দেশের সরকার আগেই ত্রাণ শিবিরে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফণীর বিষাক্ত ছোবল থেকে সব প্রাণ রক্ষা করা গেল না। ফণীর তাণ্ডবে বাংলাদেশে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
একে অমাবস্যার প্রভাব রয়েছে। তারসঙ্গে ফণী হাত মিলিয়ে সমুদ্রের জলকে ফাঁপিয়ে তুলবে একথা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের ধারণা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হবে ঢেউ। বাংলাদেশে কিন্তু ফণী ঢুকেছে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে। তাতেও ধ্বংসের চেহারাটা নেহাত ফেলে দেওয়ার মত নয়। বিশেষত যেখানে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটেছে।
ফণীর প্রভাব বাংলাদেশেও রবিবারের পর অনেকটাই ক্ষীণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরেও ফণী উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তা তেমন কিছু ভয়ংকর হবে না। কারণ একটাই। টানা স্থলভাগের ওপর দিয়ে বইতে বইতে ফণী তার অনেকটা শক্তিই হারিয়েছে। আরও হারাচ্ছে। ফলে তা এভাবেই আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা