কোণার্ক-এর সূর্য মন্দির। ওড়িশা পর্যটনের এক অন্যতম দ্রষ্টব্য। ফলে সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। অনেকেই পুরী বেড়াতে গেলে সেইসঙ্গে কোণার্কের সূর্য মন্দির দেখে আসেন। কদিন আগে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়ে ওড়িশায়। পুরী জেলা দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করার পর তা যে তাণ্ডব দেখিয়েছে তা কমবেশি সকলেরই জানা। কার্যত তছনছ হয়ে গেছে পুরী ও তার আশপাশের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে।
এই অবস্থায় পুরীর জগন্নাথ মন্দির ও কোণার্কের সূর্য মন্দিরের কতটা ক্ষতি হল তা পর্যবেক্ষণ করতে ওড়িশা সরকারের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-কে অনুরোধ করা হয়। সরকারের অনুরোধে পুরী ও কোণার্ক মন্দির খুঁটিয়ে দেখা শুরু করেন এএসআই-এর প্রত্নতাত্ত্বিকরা। কোণার্কের মন্দির পর্যবেক্ষণের পর রিপোর্ট পেশ করেছেন তাঁরা।
কোণার্ক মন্দিরের কতটা ক্ষতি করেছে ফণী? এ প্রশ্ন যেমন ওড়িশা সরকারের তেমনই আপামর সাধারণ মানুষের। এএসআই জানাচ্ছে কোণার্ক মন্দিরের নির্মাণে তেমন বড় কোনও ক্ষতি করতে পারেনি ফণী। তবে মন্দিরের উপরের অংশকে রাসায়নিকের সাহায্যে পরিস্কার করার জন্য যে লোহার মাচা বাঁধা হয়েছিল তা এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে। মন্দির চত্বরে থাকা প্রায় ২০০টির ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে।
গোটা কোণার্ক মন্দির চত্বর জুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ইন্টারনেট নেই। এসবই খুব দ্রুত ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ে কোণার্ক মন্দির চত্বর জুড়ে যেভাবে ছড়িয়ে আছে তা পরিস্কার করা হচ্ছে। যেভাবে কাজ চলছে তাতে ২-৩ দিনের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য কোণার্ক মন্দির খুলে দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
কোণার্ক মন্দিরের পাশাপাশি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষয়ক্ষতিও খতিয়ে দেখছেন এএসআই আধিকারিকরা। তাঁদের পরামর্শ সামনে এলে দ্রুত তা মেনে মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। আগামী ৪ জুলাই রথযাত্রা। তার আগেই মন্দির সম্পূর্ণ ঠিকঠাক করতে বদ্ধপরিকর ওড়িশা সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা