বাঙালির সমুদ্র দর্শন বা সমুদ্রের জলে কিছুটা ঝাঁপাইঝোরার জন্য আদি, অনন্ত ও অকৃত্রিম স্থান ছিল দিঘা। পরে মন্দারমণি, তাজপুরের মত জায়গাগুলো নাম করে। সেখানেও পর্যটকরা ভিড় জমাতে থাকেন। সেই প্রবণতা এখনও রয়েছে। ২টো দিনের ছুটি পেলেও দিঘা বা মন্দারমণিতে টুক করে ঘুরে আসা। ফলে এখানে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে। যেহেতু পর্যটকরা ভিড় জমান তাই দিঘা, মন্দারমণি বা তাজপুর সহ বাংলার উপকূলীয় এলাকায় যেখানেই পর্যটকরা আসেন সেখানেই প্রবল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। কোনওভাবেই পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা।
ওড়িশায় আগামী শুক্রবার ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। যার প্রবল ঝপটা সহ্য করতে হবে পশ্চিমবঙ্গকেও। রাজ্যের দক্ষিণভাগে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সপ্তাহের শেষটা বৃষ্টিতেই কাটবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। এই অবস্থায় খোদ পুরীর মত পর্যটনক্ষেত্রই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তার কাছাকাছি রাজ্যের সমুদ্রধারের পর্যটন ক্ষেত্রে সতর্কতা হবে না তা হতেই পারেনা। প্রশাসনও তৎপর। দিঘায় সমুদ্রে নামা দূরে থাক সমুদ্রের কাছেও যেতে দেওয়া বন্ধ হয়েছে। পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
যত স্থলভাগের দিকে ঘেঁষছে ফণী ততই সমুদ্র উত্তাল হচ্ছে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবার ওড়িশা থেকে মাত্র ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ফণী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই অবস্থায় বুধবার থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া টের পাওয়া যাচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার আরও বাড়বে।