শুক্রবারই স্থলভাগে প্রবেশ করছে অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ফণী। যাকে ইতিমধ্যেই আয়লার মত বিধ্বংসী বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে ওড়িশার দক্ষিণ পুরীর কাছ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে ফণী। স্থলভাগে প্রবেশের সময় ঝড়ের গতি থাকবে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ওড়িশার উপকূলীয় জেলা গঞ্জাম, গজপতি, খুরদা, পুরী প্রবলভাবে প্রভাবিত হতে চলেছে। জগতসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, জাজপুর ও বালাসোর-এ ফণীর প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে।
ফণী আছড়ে পড়ার ফলে ওড়িশা তো বটেই পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গও ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেতে চলেছে। রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় ফণীর তাণ্ডব দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায় ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম ও বিশাখাপত্তনম জেলায় ফণীর ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। বরং যে তামিলনাড়ুতে ফণী আছড়ে পড়বে বলে প্রথম থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেই তামিলনাড়ু এখন অনেকটাই বিপদমুক্ত।
ফণী আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস আগেই মিলেছে। তাই ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার ২টি হেলিকপ্টার ওড়িশায় তৈরি রয়েছে। তৈরি রয়েছে নৌসেনার জাহাজ। উদ্ধারকাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। বুধবারের মধ্যেই উপকূলীয় এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গেছে প্রশাসন। তাঁদের ত্রাণ শিবিরগুলিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার নিচু উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ফণী আছড়ে পড়ার সময় দানবাকৃতি ঢেউও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বড় ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ওড়িশায় ৯০০টি ত্রাণ শিবির প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে খাবার, ওষুধ, পানীয় জলের যথেষ্ট বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। এছাড়াও ফণীর প্রভাবে দুর্গতদের উদ্ধার ও তাঁদের খাবার, পানীয় জল ও ওষুধের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি রাখা হয়েছে। কোনওভাবেই মৎস্যজীবীরা যাতে সমুদ্রে যাওয়ার চেষ্টা না করেন সেদিকেও নজর রেখেছে প্রশাসন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)