পুরীতে এমন পরিস্থিতি শেষ কবে হয়েছে তা সহজে মনে করতে পারছেন না কেউই। ওড়িশার ওপর কম ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েনি। প্রায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দেখে ওড়িশা। কিন্তু সেজন্য পুরীকে পর্যটক শূন্য করতে হয়নি। ফণী আতঙ্ক এবার সেটাই করে দেখাল। সারা বছর যে শহরটা পর্যটকে থিকথিক করে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বছরের এমন কোনও সময় নেই যখন স্বর্গদ্বার, চক্রতীর্থের বালুকাবেলায় পর্যটকদের ভিড় থাকেনা। সেই পুরী মোটামুটি বৃহস্পতিবারের মধ্যে পর্যটক শূন্য হয়ে যাচ্ছে।
২ ও ৩ মে পুরীমুখী সব ট্রেন বাতিল হয়েছে। সব হোটেল বুকিং বাতিল হয়েছে। সমুদ্রের ধারের প্রতিটি হোটেল ফাঁকা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ৩টি ট্রেনে কলকাতায় ফেরানো হচ্ছে এ রাজ্যের পর্যটকদের। এছাড়া বাসেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাতে ঝড় আছড়ে পড়ার আগেই পরিবার নিয়ে সব পর্যটক বাড়ি ফিরে আসতে পারেন। ইতিমধ্যেই পুরী থেকে মাত্র ৪২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। তার জেরে পুরী জুড়ে হাওয়ার দাপট বাড়ছে। সমুদ্রও ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। সমুদ্রের ধারেকাছেও কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা।
পুরী ছাড়াও দক্ষিণে যাতায়াতের অনেক গাড়ি বাতিল হয়েছে। যারমধ্যে ফলকনামা, করমণ্ডল বা ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসের মত গাড়িও রয়েছে। তার জেরে যেমন দক্ষিণ ভারতে যাওয়া এ রাজ্যের বাসিন্দারা ফেরত আসতে সমস্যায় পড়েছেন। তেমনই অনেকদিন আগে কাটা টিকিট হাতে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের নানা জায়গা থেকে কলকাতায় আসা মানুষজনকে। কারণ তাঁরা যখন টিকিট কেটেছিলেন তখন ফণী ছিল না। আর এখন যখন ফণীর আতঙ্ক রয়েছে সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ এত যাত্রীকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে পারছে না। ফলে মাঝে পড়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন।