আগে পূর্বাভাস ছিল শুক্রবার বিকেলের দিকে ওড়িশার দক্ষিণ পুরীর কাছ দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। ফণীর গতিবিধির ওপর নজরও রাখছিল মৌসম ভবন। আর সেই গতিবিধি দেখে আবহবিদরা জানিয়ে দিলেন বিকেলে নয় শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যেই আছড়ে পড়বে ফণী।
সে খবর ওড়িশা প্রশাসনের কাছেও পৌঁছেছে। ফলে বেলাতেই ফণীর দাপট দেখতে পাবে পুরী সহ ওড়িশার উপকূলীয় এলাকা। ইতিমধ্যেই অবশ্য ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষকে ওড়িশা উপকূল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও মানুষকে নিরাপদ দূরত্ব ও আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৯০০টি ত্রাণ শিবির তৈরি রাখা হয়েছে। তৈরি রয়েছে অন্য সবরকম বন্দোবস্তও।
এখন গতি বাড়িয়ে ১৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে ফণী। ফলে যতটা ধীরে তা প্রথম দিকে এগোচ্ছিল তার চেয়ে গতি অনেকটাই বেড়েছে। ফলে তার স্থলভাগে আছাড় মারার সময়টাও এগিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওড়িশার পুরী উপকূল থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ফণী। বিশাখাপত্তনম থেকে মাত্র ১৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তার অবস্থান। তবে ফণীর গতিমুখ যেমন তাতে তা বিশাখাপত্তনম ছাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ধেয়ে যাবে পুরীর দিকে। আর সেখান দিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিঘা থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ফণী।
ফণীর প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ক্রমশ সাইক্লোনটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে আগুয়ান হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের ধারণা এখনও ফণী যে অবস্থায় রয়েছে তাতে তা সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)