State

দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরে ঝোড়ো হাওয়া বাড়ছে, উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র

রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকটি অতি জনপ্রিয় সমুদ্রতট রয়েছে। ছোটখাটো ছুটিতে সেখানে ঘুরে আসা বাঙালির প্রায় নেশায় পরিণত হয়েছে। নিজেকে ২টো দিন একটু রিফ্রেশ করে নেওয়া। তারপর ফের কাজে ফেরা। তাই পরিবার নিয়ে সপ্তাহ শেষে দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি, শঙ্করপুর, তাজপুরের মত জায়গায় পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে একটু সমুদ্রের ধারে বেড়িয়ে আসেন অনেকেই। এবার ফণীর প্রভাবে সে গুড়ে বালি। বরং যে কজন পর্যটক এসব জায়গায় গিয়েছিলেন তাঁদেরও গরুতাড়া করে সমুদ্রের ধার থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্রের ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছেনা।

কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় স্থানীয় প্রশাসন। অবশ্যই সবই করা হচ্ছে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। বরং পর্যটকদের এসব জায়গা ছেড়ে ফিরে যেতেই বলা হচ্ছে। মাইকে করে সমুদ্রের ধারে কাছে না যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। সমুদ্রের ধারে বাঁশি হাতে ঘুরছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কেউ একটু সমুদ্রের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাঁরা বাজিয়ে দিচ্ছেন হুইসল।


শুক্রবার ওড়িশায় আছড়ে পড়ার কথা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর। রাজ্যেও ঝড়ে প্রভাব পড়বে। উপকূলে সে সময় ঝড়ে গতি হতে পারে ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। শুক্রবার আছড়ে পড়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই এসব পর্যটনস্থলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। টুকটাক বৃষ্টিও হচ্ছে। সমুদ্র ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে সার দিয়ে সমুদ্রের ধারে বালির চরে দাঁড়িয়ে আছে একের পর এক মাছ ধরার নৌকা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button