বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফেনজল, বাংলায় কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ফেনজল জলের ওপরই তার শক্তিবৃদ্ধি করছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে, কীভাবে পড়বে, কি বলছে আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ এখন ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে ফুঁসছে। এখনও তা সাগরের ওপরই অবস্থান করছে। ক্রমে তা স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসবে। এর কতটা প্রভাব বাংলার ওপর পড়তে চলেছে, সেটাই এখন সকলের জিজ্ঞাসা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ফেনজলের ভয়ংকর প্রভাব বাংলার ওপর পড়বে না। তবে বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলিতে সপ্তাহ শেষে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা ও ২ মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাকি জেলায় বৃষ্টি হয়তো হবেনা, তবে কুয়াশা থাকবে। যে শীতের পরশ ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল তা কিছুটা হলেও বাধা পাবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও উপকূল লাগোয়া জেলাগুলিতে পারদ কিছুটা হলেও চড়তে পারে। যেভাবে একটু একটু করে পারদ পতন হচ্ছিল তা থমকে যেতে পারে।
ফেনজল তামিলনাড়ুর কাছে আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকেই তামিলনাড়ুর উপকূলীয় জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এই বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ুর রেহাই নেই। বৃষ্টিতে ভাসছে পুদুচেরিও। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলও এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা।
ফলে দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূলের জেলাগুলি একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। জমা জল যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি এজেন্সিকে তৈরি রাখা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা