ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন, স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বুধবার
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এবার ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে তার আন্দাজ পাওয়া গেল।
মধ্য পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ক্রমশ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল। ঘূর্ণিঝড়টির নাম হয়েছে হামুন। যার জেরে পুজোর নবমী থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিছুটা হলেও মাটি হয়েছে পুজোর আনন্দ। একটা নিম্নচাপ যে পুজোর মধ্যে তৈরি হবে তার আন্দাজ আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস হুবহু মিলিয়ে ঠিক নবমী থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। যে বৃষ্টি একাদশী পর্যন্ত চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে পুজো শেষ করেও বৃষ্টি চলবে। আর বাঙালির পুজোর আনন্দ নবমী ও দশমীর দিন কিছুটা হলেও মাটি তো করবে এই বৃষ্টি। এমনই পূর্বাভাস।
এর মধ্যেই আরও বড় চিন্তা ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আছড়ে পড়বে তা নিয়ে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রে শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে মুখ করে ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে।
হামুন কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে তার আন্দাজ দিতে গিয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হামুন যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে তা বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।
তারপর ঝড়টির বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা। যদিও আবহবিদেরা মনে করছেন এটি সমুদ্রের ওপর যতটা শক্তিশালী থাকবে, স্থলভাগে প্রবেশের আগে তার থেকে দুর্বল হয়ে যাবে। শক্তি কিছুটা হারিয়েই ঝড়টির স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা।
পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ছে না। এটা রাজ্যবাসীর জন্য স্বস্তির। তবে তার প্রভাব অবশ্যই পড়বে। স্থলভাগে প্রবেশের মুখে সেটি কার্যত গভীর নিম্নচাপেই পরিণত হবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। কিন্তু ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুব বড় কিছু না হলেও তার জেরে পুজোর আনন্দে বেশ কিছুটা প্রভাব পড়েছে।