ঘূর্ণিঝড় হামুনের ধাক্কায় কতটা কাবু হবে বাংলা, জানাল আবহাওয়া দফতর
ঘূর্ণিঝড় হামুনের ধাক্কায় ইতিমধ্যেই নবমী ও দশমীতে ভিজেছে কলকাতা। একাদশীতে হামুন আছড়ে পড়ছে স্থলভাগে। এতে বাংলা কতটা কাবু হবে জানাল আবহাওয়া দফতর।
বৃষ্টি শূন্য পুজো শিকেয় ছিঁড়ল না দক্ষিণবঙ্গবাসীর। কার্তিক মাসে পুজো পড়েও বৃষ্টি সেই অসুর হয়ে দেখা দিলই। এবার অনেকেই আশা করেছিলেন পুজো দেরিতে হওয়ায় রোদ ঝলমলে হয়ে কাটবে। আবহাওয়া দফতরও একটা সময় পর্যন্ত তেমনটাই মনে করছিল।
কিন্তু বঙ্গোপসাগরে আচমকাই এক নিম্নচাপের গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেওয়া এবং তারপর তা ঘূর্ণিঝড় হামুন হয়ে এগিয়ে আসা নবমীতে বৃষ্টি ঝরিয়েছে।
বৃষ্টি বিজয়াতেও রেহাই দেয়নি। দুপুর থেকে কলকাতা সহ আশপাশের জেলাগুলি কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তা আর বৃষ্টি ঝরা মেঘলা আকাশেই বিজয়া সেরেছে। এদিকে একাদশীতে হামুন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। তার কতটা প্রভাব বাংলার ওপর পড়বে জানাল আবহাওয়া দফতর।
হামুন পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার যে সম্ভাবনা নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তা আছড়ে পড়বে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কাছে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
তবে হামুনের প্রভাব কিছুটা হলেও বাংলার ওপর পড়বে। খুব ঝেঁপে না হলেও বৃষ্টি হবে ৪ জেলায়। একাদশীতে দুই ২৪ পরগনা ও ২ মেদিনীপুরে ভাল বৃষ্টি হতে চলেছে। সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
তাই মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বাংলার উপকূলীয় এলাকায় হামুনের প্রভাব পড়লেও তা কলকাতা বা অন্য জেলাগুলিতে খুবই কম পড়তে চলেছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। হামুন বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার সময় সুন্দরবনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে।