শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কিয়ার এখনও সমুদ্রের ওপর অবস্থান করলেও তা স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে রবিবার দিওয়ালীর দিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস দিওয়ালীর খুশি মাটি করে দিতে পারে কিয়ার। কর্ণাটকের একটা বড় অংশে প্রভাব ফেলতে চলেছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
কিয়ার যে আছড়ে পড়তে চলেছে তা শনিবার থেকেই টের পেতে শুরু করেছে কর্ণাটকের উপকূলীয় এলাকার মানুষজন। শনিবার কর্ণাটকের উপকূলীয় ও দক্ষিণ অংশের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দিওয়ালী যে তাঁদের মাটি হতে চলেছে সে বিষয়টা মোটামুটি পরিস্কার হয়ে গেছে সেখানকার স্থানীয় মানুষের। বরং তাঁরা এখন আতঙ্কিত কিয়ার আছড়ে পড়লে তা কতটা ক্ষতি করতে চলেছে তা নিয়ে।
দিওয়ালীর আনন্দ যখন শনিবার সন্ধে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে গ্রাস করেছে। মানুষ যখন দেশের অন্যতম উৎসবের আনন্দে আত্মহারা হতে শুরু করেছেন। হৈচৈ, আলো, দিয়া, আতসবাজি, খাওয়া দাওয়া, বাড়ি সাজানো, রঙ্গোলী সব মিলিয়ে উৎসবের পারদ চড়চড় করে চড়ছে, ঠিক তখনই কর্ণাটকের বড় অংশ প্রবল বৃষ্টিতে প্রমাদ গুনছে। কিয়ার সমুদ্রে অবস্থান করছে, কিন্তু তার প্রভাবে শনিবার সময় যত গড়িয়েছে ততই বৃষ্টির তেজ বেড়েছে। হাওয়ার গতি বেড়েছে। অনেক নিচু এলাকা শনিবারই জলের তলায় চলে গেছে।
রাজ্য সরকারের তরফে সমুদ্রের ধারে বসবাসকারী মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে মানা করা হয়েছে। কর্ণাটক লাগোয়া আরব সাগর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। রবিবার স্থলভূমিতে প্রবেশ করার পর কিয়ার কী তাণ্ডব দেখায় তা নিয়ে শঙ্কিত সরকার থেকে সাধারণ মানুষ। সব ধরণের উদ্ধারকাজের জন্য তৈরি রয়েছে রিলিফ টিম। উৎসব এখন মাথায় উঠেছে কর্ণাটক প্রশাসন ও বাসিন্দাদের। তাদের কাছে এখন আতঙ্কের আর এক নাম কিয়ার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা