আম্ফানের স্মৃতি উস্কে জমাট বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় ‘তাউতে’
গত বছর মে মাসের ২০ তারিখ আছড়ে পড়েছিল আম্ফান। এ বছর ঠিক সেই সময়ই আছড়ে পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘তাউতে’।
গত বছর ২০ মে। এক আতঙ্কের দিন কাটিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা এখনও সামলে ওঠা যায়নি। এ বছর ঠিক ওই সময়েই ফের আছড়ে পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছে আর একটি ঘূর্ণিঝড়। এখন সাগরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউতে।
একটি গভীর নিম্নচাপ যেভাবে আরও ঘনীভূত হচ্ছিল তাতে তা যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলেছে তা আন্দাজ আগেই করেছিলেন আবহবিদেরা। এবার সে বিষয়ে সতর্কও করলেন তাঁরা।
ঘূর্ণিঝড় তাউতে অবশ্য বঙ্গোপসাগরে নয়, জমাট বাঁধছে আরবসাগরে। মৌসম ভবন মনে করছে আগামী ১৮ বা ১৯ মে সেটি আছড়ে পড়তে পারে গুজরাট উপকূলে।
গত বৃহস্পতিবারই কন্যাকুমারীর কাছ থেকে আরবসাগরে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ৮৪টি নৌকাকে সতর্ক করেছে তামিলনাড়ুর মৎস্য দফতর।
আড়াই হাজার মৎস্যজীবীকে তাউতের তাণ্ডব নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে গুজরাট সরকারকেও। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন।
১৫ মে ঘূর্ণিঝড়টি লাক্ষাদ্বীপের কাছে অবস্থান করবে। ১৬ মে শক্তি আরও বাড়াবে। এমনও সম্ভাবনা রয়েছে যে সেটি গুজরাটের উপরই আছড়ে না পড়ে একটু সরে গুজরাটের কচ্ছ ও মূলত পাকিস্তানের ওপর আছড়ে পড়ল।
তবে তাউতে যত জমাট বাঁধবে তত কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় তার প্রভাব পড়বে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা