ওড়িশা উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। এখন বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করলেও যে গতিতে তা স্থলভূমির দিকে এগোচ্ছে তাতে বৃহস্পতিবার ভোরে তা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় ঝড়ের গতি থাকবে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। শুধু ওড়িশা বলেই নয়, তিতলির প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশের ওপরও। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকাও এই ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পাবে না। ইতিমধ্যেই ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। বেড়েছে ঢেউয়ের উচ্চতাও।
ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করতে যাবতীয় পদক্ষেপ শুরু করেছে। ওড়িশার যে ৫টি জেলার ওপর ঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে, সেই ৫ জেলা পুরী, খুরদা, গঞ্জাম, কেন্দ্রাপারা ও জগতসিংপুর থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। মূলত সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল, কলেজ ১১ ও ১২ তারিখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
একইভাবে সতর্ক রয়েছে অন্ধ্র প্রশাসনও। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছেনা। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তিতলি একটি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে দ্রুত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে ২ রাজ্য। এখন অপেক্ষা, কখন স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে তিতলি।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)