বৃহস্পতিবার কাকভোরে ওড়িশার গোপালপুর দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তিতলি। তখন ভোর সাড়ে ৪টে। ১২৬ কিলোমিটার গতিতে ঝড় বইতে শুরু করে গোপালপুর সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঝড়ের প্রলয়ঙ্করী আওয়াজে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ওড়িশার গঞ্জাম, জগতসিংপুর, পুরী, গজপতি, খুরদা, কেন্দ্রাপারা, ভদ্রক, বালাসোর ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হতে শুরু করে। অজস্র কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। এখনও পর্যন্ত ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গজপতি জেলা। প্রবল ঝড়ের সঙ্গে ছিল চারপাশ ঝাপসা করা প্রবল বর্ষণ। ঝড়, বৃষ্টিতে জনজীবন ভোরেই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। কেউই বাড়ি থেকে বার হওয়ার ঝুঁকি নিতে পারেননি। কয়েক জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়। অনেক রাস্তার ওপর গাছ পড়ায় ওড়িশার কিছু অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে উপকূল বরাবর স্থলভূমিতে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি। যত ঢুকেছে ততই চাপরাশে তছনছ চালিয়েছে তিতলি। ভোরে রাজ্যে প্রবেশ করার পর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে ওড়িশার সিংহভাগ এলাকায়। ফলে অনেক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির ভয় পাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে ঝড়ের জেরে গত বুধবারই প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় ওড়িশা প্রশাসন। ১ হাজার ১১২ টি ত্রাণ শিবির করে সেখানে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এদিন তো বটেই শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশায় স্কুল, কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা