ওড়িশার গোপালপুর দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তিতলির জেরে টালমাটাল উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশও। অন্ধ্রের শ্রীকাকুলাম জেলার পালাসা দিয়ে এ রাজ্যে স্থলভূমিতে প্রবেশ করে তিতলি। এখানেও ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদই প্রবেশ করে ঝড়। ঝড়ের গতি ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। ঝড়ের চোটে গোটা শ্রীকাকুলাম ও বিজয়নগরম জেলা জুড়ে ধ্বংসলীলা শুরু হয়। প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ে। বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপর গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি অনেক জায়গায় হুহু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে জলস্তর। তৈরি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। অন্ধ্রে তিতলির দাপটে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে শ্রীকাকুলামে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিজয়নগরমে। মৃত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন মৎস্যজীবী।
অন্ধ্রের প্রধানত শ্রীকাকুলাম জেলাই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আপাতত গৃহবন্দি। বার হওয়ার উপায়ও নেই। বেলা পর্যন্ত প্রবল ঝড় বয়েছে। পরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলতে থাকে। তাণ্ডব চলতে থাকায় এখনও সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির কোনও পরিস্কার হিসাব নেই।
এদিকে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে তিতলির তাণ্ডবে অনেকগুলি ট্রেন বাতিল হয়েছে। কিছু ট্রেনের রুট বদল করা হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। কিছু বিমানও বাতিল হয়েছে। ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে বাতিল হয়েছে কয়েকটি বিমান।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)