তিতলির স্থলভূমিতে প্রবেশের পর ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের একটা বড় অংশ তার প্রলয়লীলার দাপটে পড়ে বৃহস্পতিবার সকালে। কিন্তু সেভাবে তিতলির প্রভাব পড়ল না পশ্চিমবঙ্গে। উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। বৃষ্টিও হয়েছে নাগাড়ে। সমুদ্রে নামার বা তার ধারে কাছে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিলনা। কিন্তু অনেকে দিঘা বা এমন সমুদ্রসৈকতের একটু দূরে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির এই ভয়ংকর লীলা প্রত্যক্ষ করেছেন। সমুদ্রের ভয়াল রূপ দেখেছেন। তবে যাকে তাণ্ডব বলে তা এ রাজ্যে হয়নি।
কলকাতায় এদিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বেলার দিকে রোদ ওঠে। আকাশ অনেকটাই পরিস্কার হয়। ফলে শারদোৎসবের আগে যে আশঙ্কার মেঘ জমেছিল তা কিছুটা হলেও সরে যায় সাধারণ মানুষের মন থেকে। উদ্যোক্তারাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
তবে হাওয়া অফিস কিন্তু অন্য কথা বলছে। তাদের পূর্বাভাস এই সাইক্লোন স্থলভূমিতে প্রবেশের পর তার শক্তি ক্রমশ খোয়াতে থাকবে। এটাই বাস্তব। যতক্ষণ সাইক্লোন সমুদ্রের ওপর আছে তা শক্তি বাড়াতে থাকে। আর স্থলভূমিতে আছড়ে পড়র পর তার শক্তি কমতে থাকে। ফলে শক্তি কমবে তিতলিরও। তবে তা ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। কিছুটা অগ্রসর হওয়ার পর তা মুখ ঘুরিয়ে উত্তর পূর্ব দিকে আসতে শুরু করবে। যার অভিমুখ হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)