ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’ গুজরাটের দিকে তেড়ে এলেও শেষ মুহুর্তে তা মুখ কিছুটা ঘুরিয়েছে। ফলে সরাসরি গুজরাট উপকূল হয়ে স্থলভাগে তা প্রবেশ করবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এখন তার অভিমুখ উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে। তবে তা গুজরাট উপকূলের ধার দিয়েই বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে পাস করে। যার জেরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে। বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় একটানা প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। একে বায়ু-র ঝাপটা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু তার ঝাপটাই রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছে তামাম এলাকাকে।
প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি একটানা চলতে থাকায় সাধারণ মানুষ তটস্থ। সেই সঙ্গে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। বায়ু আছড়ে পড়ার অপেক্ষায় তারা যেভাবে তৈরি ছিল, সেই সতর্কতা থেকে তারা এখনই সরছে না। বৃহস্পতিবার বিকেল জুড়েই সৌরাষ্ট্রের উপকূলের খুব কাছ দিয়ে পাস করে বায়ু। মূল ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রের ওপরেই থাকলেও তার ঝাপটা নেহাত কম ছিল না।
বায়ু আছড়ে না পড়লেও তার ঝাপটাই যে খেল এদিন বিকেলে দেখিয়েছে তাতে ৩ লক্ষের ওপর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সঠিক কাজ হয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসন। বহু গাছ ভেঙে পড়েছে এদিনের ঝাপটা ঝড়ে। অনেক কাঁচা বাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। এদিন যে ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছিল সেগুলিও বাতিল থাকায় সুবিধা হয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। কারণ বায়ুর ঝাপটাতেই রীতিমত নাজেহাল পরিস্থিতি হয়েছে গোটা অঞ্চলের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা