দ্রুত এগোচ্ছে যশ, চিন্তা বাড়াচ্ছে পূর্ণিমা
দ্রুত গতিতে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে যশ। ফলে উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। চিন্তা বাড়ছে উপকূলীয় এলাকায়। চিন্তা ও উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে পূর্ণিমা।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যশ এখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে এগিয়ে আসছে। বুধবার ভোরেই আরও শক্তি সঞ্চয় করে তা অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তবে তার স্থলভাগের দিকে এগোনের গতি বজায় থাকবে।
বুধবার দুপুরে ওড়িশার ধামরা ও বালাসোরের ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে যশ। মঙ্গলবার তা ১৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে স্থলভাগের দিকে এগিয়েছে। এর অভিমুখ রয়েছে উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে।
স্থলভাগে প্রবেশের সময় যশ-এর গতি হতে পারে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে যশ ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল মঙ্গলবার বিকেলে। ক্রমশ তা এগিয়ে আসছে।
যশের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে চলেছে ওড়িশা উপকূলেই। তবে এ রাজ্যের ২ উপকূলীয় জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও যশের দাপট পরিলক্ষিত হবে।
বুধবার দেশজুড়ে পালিত হবে বুদ্ধপূর্ণিমা। আর পূর্ণিমা বা অমাবস্যা মানেই সমুদ্র সাধারণের চেয়ে বেশি উত্তাল হওয়া।
একে ঝড়ের দাপটে সমুদ্র উথাল পাতাল করবে। তার ওপর কোটালের ফলে জলস্ফীতি আরও বেশি হবে। যা উপকূলীয় এলাকায় যশ-এর তাণ্ডব চিত্রকে আরও ভয়ংকর করে তুলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনেক জায়গায় উপকূলীয় বিভিন্ন গ্রাম, শহরে জল ঢোকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞেরা।