ভাসছে গাড়ি, ভাঙল রাস্তা, উত্তাল মাতলা, বিদ্যাধরী, হলদি
যশ ও ভরা কোটাল, এই জোড়া ফলায় সমুদ্র কার্যত অতিভয়ংকর রূপ নিয়েছে রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায়। তার মধ্যেই কার্যত উথাল পাতাল করছে বিভিন্ন নদী।
যশ-এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ল রাজ্যের ২ উপকূলীয় জেলায়। এখানে উপকূলীয় শহর গ্রাম ভাসিয়ে দিচ্ছে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস। জল ঢুকে শহর থেকে গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে।
সমুদ্রের এমন ভয়াল রূপ দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। এভাবে সমুদ্র তাঁদের ওপর আছড়ে পড়েনি বহুকাল। ফলে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন।
বহু মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় হাঁটু বা বুক জলেই বেরিয়ে আসেন। জলের মধ্যে ভেলার মত ভাসতে দেখা যায় অনেক গাড়ি। এমনকি পে লোডার পর্যন্ত উল্টে যায় বানভাসি রাস্তায়।
বহু রাজপথ জলের তলায় ধুয়ে গেছে। রাস্তা প্রায় আর নেই। অগুন্তি বাড়িতে জল ঢুকছে। দোকানপাট থেকে থানা, সর্বত্র জল ঢুকে গেছে।
উপকূলের শহর গ্রামগুলির চেহারা যখন এমন তখন এখানকার নদীর ধারের শহর গ্রামগুলিতেও ত্রাহি ত্রাহি রব। মাতলা, বিদ্যাধরী-র মত নদী ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। হুহু করে জল ঢুকছে নদী তীরবর্তী এলাকায়। সকাল থেকেই এই পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।
এদিন সকালে হলদি নদীও উত্তাল হয়ে ওঠে। এমনভাবে নদীতে জলোচ্ছ্বাস হতে থাকে যে সমুদ্র বলে ভ্রমও হতে পারত। হলদিয়ার অনেক গ্রামে জল বাড়তে শুরু করে।
সকালেই বহু এলাকায় মাইকিং করে সেখানকার মানুষদের বাড়ি ছাড়তে অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের তরফে। অনেকে বাড়ি ওই পরিস্থিতিতেও ছাড়তে না চাওয়ায় তাঁদের বুঝিয়ে বার করে আনার চেষ্টা করে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ।