যশ কীভাবে এগোবে, কোথায় আছড়ে পড়বে, জানাল হাওয়া অফিস
ঘূর্ণিঝড় যশ ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। কিন্তু সমুদ্রের কোন পথে এসে তা কোথায় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে তার একটা ধারণা দিল আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড় যশ আসছে। তার মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেছে এনডিআরএফ টিম। প্রশাসনের তরফে উপকূল থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় কোন পথে এগোবে, কোথায় আছড়ে পড়বে, কবেই বা আছড়ে পড়বে, এসব সম্বন্ধে একটা ধারণা দিল আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে সোমবার সকালের মধ্যেই যশ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়ে শক্তি বাড়াতে শুরু করবে। তারপর ২৪ ঘণ্টায় তা শক্তি বাড়িয়ে অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে।
মঙ্গলবার তা স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করবে। গতিপথ হবে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে। বুধবার সকালে এই অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরের উত্তর পশ্চিম ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে।
বুধবার সন্ধেবেলা ঝড়টি আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকা দিয়ে অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আকারে যশ স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
২৬ মে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃষ্টি কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হবে।
ঝড় যত কাছে আসবে ততই বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ২৬ মে স্থলভাগে প্রবেশের দিন ভারী বৃষ্টি হবে এই জেলাগুলিতে। তারপর তা ক্রমশ দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও ছড়িয়ে পড়বে। যশ-এর জেরে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।