২০১৬ সালে সিংহটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন মিশাল প্রসেক। নিজের বাড়ির পিছনের বাগানে একটি বিশাল খাঁচা তৈরি করে সেখানে রাখেন সিংহকে। পোষ মানান সেটিকে। গত বছর ওই পোষা সিংহের সঙ্গিনী হিসাবে নিয়ে আসেন এক সিংহীও। তাকেও পোষ মানান যুবক প্রসেক। তখন কী আর জানতেন এত কষ্ট করে পোষ মানানো সিংহই শেষ করে দেবে তাঁর জীবন। কিন্তু এমনটাই হয়েছে। পোষা সিংহের খাঁচার মধ্যে ছেলে প্রসেককে পড়ে থাকতে দেখে আঁতকে ওঠেন তাঁর বাবা। ছেলের নিথর দেহ দেখে বুঝতে পারেন কী হয়েছে। দ্রুত খবর দেন পুলিশে।
পুলিশ এসে দেখে খাঁচাটি ভিতর থেকে বন্ধ। খাঁচার মধ্যে পড়ে আছে প্রসেকের দেহ। আর তাঁর পোষা সিংহ খাঁচায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশেষে সিংহটিকে গুলি করে হত্যা করে প্রসেকের দেহ খাঁচা থেকে বার করে আনা হয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, প্রসেকের দেহ বার করতে হলে সিংহটিকে গুলি করে মারা ছাড়া আর কোনও রাস্তা তাদের হাতে ছিলনা। ঘটনাটি ঘটেছে চেক রিপাবলিকের জেচভ গ্রামে। এখানেই তাঁদের বিশাল বাড়ির পিছনের বাগানে সিংহ পুষেছিলেন প্রসেক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা