শীতের শেষে পৌঁছে এখানে পোড়ানো হয় শীত ডাইনি, ওই আগুনে তৈরি হয় সুস্বাদু খাবার
শীতের প্রায় শেষে পৌঁছে এখানে পোড়ানো হয় শীত ডাইনিদের। তারপর সেই পোড়ানোর আগুনে ভেজে নেওয়া হয় এক সুস্বাদু পদ। এ এক প্রাচীন প্রথা।
শীতের শেষের দিকে পৌঁছে বসন্তের আশায় দিন গুনতে থাকেন মানুষজন। শীতের সেই শেষ ধাপে পৌঁছে এ দেশে পালিত হয় নানা সনাতনি প্রথা।
ভারতে শীতের শেষে দোলের সময় নেড়া পোড়ানোর রীতি রয়েছে। এই নেড়া পোড়ানোর সময় তাতে ফেলে দেওয়া হয় জীর্ণ পুরনো জিনিসপত্র থেকে শুকনো কাঠ, পাতা, খড় সবই। শীতের ধূসর শুকনো জিনিস পুড়িয়ে নতুন করে শুরু হয় বসন্তের আগমন।
ঠিক তেমন শীতকে একটি দেশে কার্যত ডাইনি বলে মনে করা হয়। কনকনে ঠান্ডা শীতের প্রায় শেষে পৌঁছে বিদায় নেওয়ার সময় হয়।
চেক প্রজাতন্ত্রে শীত কিন্তু শেষ হতে মে মাস হয়ে যায়। তাই শীত শেষে এপ্রিলের ৩০ তারিখে প্রতিবছর সেখানে শীত ডাইনি পোড়ানোর উৎসব পালিত হয়। এখানে কুশপুতুলের মত করে কাঠ, ডালপালা দিয়ে ডাইনি তৈরি করা হয়। তারপর তাতে অগ্নিসংযোগ করেন স্থানীয় মানুষজন।
শীতের ডাইনিকে এভাবে তাড়ান সেখানকার মানুষ। এর মধ্যে দিয়ে তাদের বার্তা দেওয়া হয় অনেক হয়েছে ফের আগামী বছর ফিরবে, এখন যাও।
তারপর যে আগুন জ্বলতে থাকে সেই আগুনে সকলে মিলে সসেজ ভেজে নেন। সেই সসেজ খাওয়া চলে আগুনের চারপাশে বসে। সঙ্গে থাকে নানা ধরনের পানীয়।
আগুন জ্বলতে থাকে। শীত ডাইনি পুড়তে থাকে। আর তার চারপাশে জমে ওঠে মন ভাল করা উৎসব। এই প্রথা চেক প্রজাতন্ত্র বা পূর্বতন চেকোস্লোভাকিয়ায় বহুকাল ধরে চলে আসছে।