ভারতীয় ডাক টিকিটে বা খামে দেশের ঐতিহাসিক জায়গা বা খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের তুলে ধরার পরম্পরা আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় ডাক বিভাগ একাজ করে চলেছে। দেশের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডও ডাক টিকিটে নিজের জায়গা করে নিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। অবশ্য সময় বদলেছে। চিঠি লেখা এখন কার্যত ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। মেল বদলে এসেছে ই-মেল। মুহুর্তের এই যুগে চিঠি লিখে সেই চিঠি খরচ করে পোস্ট করে তারপর গালে হাত দিয়ে বসে থাকা, কবে পৌঁছবে সেই চিঠি! কবে আসবে উত্তর! জাস্ট অসম্ভব! তবু ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা এখনও বর্তমান। পোস্ট অফিসে এখন মানুষ যান টাকা জমা দিতে বা তুলতে। একরকম ব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে ডাকঘরগুলো। চিঠি পোস্ট করতে বা স্ট্যাম্প কিনতে সারাদিনে একজনও আসেন কিনা সন্দেহ। কিছুক্ষেত্রে রেভিনিউ স্ট্যাম্প কিনতে মানুষ হাজির হন ডাকঘরে। এর বাইরে সারাদিনে দেশ জুড়ে কটা স্ট্যাম্প বিক্রি হয় তাও হয়তো গুণে বলে দেওয়া যায়।
তবে ডাক ব্যবস্থা তাদের কাজ কিন্তু নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন কদিন আগেই বাঁকুড়ায় একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হল দলমাদল কামানের ছবি দেওয়া পোস্টাল খাম। দক্ষিণবঙ্গের পোস্ট মাস্টার জেনারেলের হাত ধরে সেই পোস্টাল খাম সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশিত হল। বিষ্ণুপুরের ইতিহাসের এক অন্যতম নিদর্শন দলমাদল। দলমর্দন থেকে অপভ্রংশের শিকার হয়ে নাম বদলে কামান এখন দলমাদল। যে বিশাল কামানকে ইংরাজ আমলে একটি বেদী করে নিদর্শন হিসাবে সংরক্ষিত করে খোদ ইংরাজরাই। সেই বিখ্যাত দলমাদল এবার জায়গা পেল ভারতের পোস্টাল খামে।