দুধ খেতে গিয়ে গলায় আটকে মৃত্যু, স্বীকার করল শেরিনের পালক পিতা
ডালাসের রিচার্ডসন অঞ্চলে ৩ বছরের কন্যাসন্তানের রহস্যমৃত্যুর জট না কাটলেও বয়ান বদলে ফের গারদের পিছনে যেতে হল শিশুটির পালক পিতা ওয়েসলি ম্যাথিউজকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের রিচার্ডসন অঞ্চলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩ বছরের কন্যাসন্তানের রহস্যমৃত্যুর জট না কাটলেও বয়ান বদলে ফের গারদের পিছনে যেতে হল শিশুটির পালক পিতা ওয়েসলি ম্যাথিউজকে। ওয়েসলিকে আগেও একবার গ্রেফতার করা হলেও আড়াই লক্ষ ডলারের ব্যক্তিগত বন্ডে সে জামিন পেয়ে যায়। গ্রেফতারির পর সে স্বীকার করে নিয়েছে যে শেরিন দুধ খেতে চাইছিল না। তাই জোর করেই তাকে দুধ গেলানোর চেষ্টা করে ম্যাথিউজ। সেই সময় গলায় দুধ আটকে কাশতে কাশতে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার স্ত্রী সিনি ম্যাথিউজ পেশায় নার্স। তাঁকে ডাকলে হয়তো শেরিনকে বাঁচানো গেলেও যেতে পারত। কিন্তু তা না করে ধীরে ধীরে পালিত কন্যাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখে ওয়েসলি ম্যাথিউজ।
পুলিশের কাছে ম্যাথিউজ স্বীকার করে নিয়েছে যে শেরিনের মৃত্যুর পর নিজের হাতে সে মৃতদেহ টানেলের নিচের রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসে। যদিও শেরিনের দেহ উদ্ধারের পর যখন তার পালক পিতাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তখন তার দাবি ছিল শেরিন দুধ খেতে না চাওয়ায় তাকে রাতের অন্ধকারেই বাড়ির বাইরে বার করে দেয় সে। ১৫ মিনিট পর খুঁজতে বেরিয়ে শেরিনের আর খোঁজ মেলেনি। সকাল হলে ফের খোঁজ করেও ফল হয়নি, শেরিনকে খুঁজে পায়নি সে। এবার ফের পুলিশের কাছে বয়ান বদল করল ৩ বছরের শেরিনের পালক পিতা ওয়েসলি ম্যাথিউজ।