এ জায়গা ছবিতে চোখ জুড়িয়ে দেয়, কিন্তু যাওয়ার চেষ্টা করাটাই বৃথা
এমন কিছু জায়গা রয়েছে এ বিশ্বে যেখানে না যাওয়াই মঙ্গল। বলা ভাল যাওয়া সম্ভবই নয়। তেমনই একটি জায়গা কিন্তু ছবিতে দেখলে বেশ দেখায়।
বিশ্বে এমন কিছু স্থান রয়েছে যার সম্বন্ধে জানা যায়, তার অস্তিত্বও রয়েছে। চাইলে যাওয়াও যেতে পারে। কিন্তু সেখানে কেউ যান না। বলা ভাল চাইলেও যেতে পারেননা। কি আছে সেখানে? কেনই বা যাওয়া যায়না? এর উত্তর জানার আগে জেনে নেওয়া যাক জায়গাটা কোথায়।
এই জায়গা ইথিওপিয়ায়। নাম দানাকিল ডিপ্রেশন। যা তৈরি হয়েছিল যখন আফ্রিকা ও এশিয়া আলাদা হয়ে যায় তখন। এই স্থানেই রয়েছে ৩টি টেকটনিক প্লেটের একে অপরের থেকে সরে যাওয়া জায়গা।
বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান এটি। যেখানে প্রায় সারা বছরই সাধারণ তাপমাত্রা থাকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমকালে ৪০ পার করলেই মানুষের ঘুম উড়ে যায়, সেখানে ৫৫ ডিগ্রির গরম কেমন তা অনুমেয়।
এই পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে অনেক লাভার হ্রদ। গলিত লাভার স্রোতে তৈরি হয় এসব হ্রদ। যেখানে গলিত লাভার অভাব হয়না। কারণ আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত লেগেই থাকে এখানে। আর রয়েছে অনেক অ্যাসিডের হ্রদও।
অস্বাভাবিক গরম, গলিত লাভায় পূর্ণ ফুটন্ত হ্রদ, অ্যাসিডের হ্রদ। বোঝাই যাচ্ছে এখানে যাওয়া মানুষের কম্ম নয়। এটি বিশ্বের অন্যতম নিচু স্থানও।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এটি ৩৩০ ফুট নিচে অবস্থিত। মানুষ কেন, এখানে কোনও নদী নেই। নেই গাছপালা বা কোনও প্রাণি। বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান হয়ে থেকে গেছে এই দানাকিল ডিপ্রেশন।