মেয়ে ববিতা যখন কমনওয়েলথ গেমসে তাঁর ফাইনাল ম্যাচে সোনার মেডেলের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নামছেন তখন তাঁর বাবা তথা প্রশিক্ষক মহাবীর ফোগটকে একটা ঘরে তালা বন্ধ করে দেন ভারতীয় দলের কোচ। যাতে ফাইনালে ববিতা তাঁর বাবার পরামর্শটুকুও না পান। আমির খানের নতুন সাড়া জাগানো সিনেমা ‘দঙ্গল’-এ এভাবেই ভারতীয় দলের কোচকে খলনায়ক হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে চূড়ান্ত ব্যথিত বোধ করছেন সে সময়ের ভারতীয় দলের কোচ আর পি সোন্ধি। ফাগুয়ারার বাসিন্দা সোন্ধি-র এখন বয়স ৭০ বছর। তিনি সিনেমাটি দেখেননি। কিন্তু যাঁরা দেখেছেন তাঁদের মুখ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন তাঁকে সিনেমায় ভিলেন হিসাবে দেখানো হয়েছে। তাঁর দাবি, বাস্তবটা ঠিক এর উল্টো। মহাবীর ফোগটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। দুই কুস্তিগির বোন গীতা এবং ববিতাকে তিনি অনেকবার সাহায্য করেছেন। ২০১০-এর কমনওয়েলথ গেমসে তিনিই ছিলেন ভারতীয় দলের কোচ। যেখানে ববিতা সোনা জেতেন। একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় গীতা শেষ মুহুর্তে তার পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে। তখন তাকে তিনিই সাহায্য করেন বলে দাবি করেছেন সোন্ধি। সিনেমায় তাঁকে ভিলেন হিসাবে দেখানোর পর তিনি এনিয়ে সাই-য়ের দরজায় কড়া নাড়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন।