উষ্ণতম স্থান মৃত্যু উপত্যকায় পাহাড় থেকে নেমে এল ঝর্ণার জল
যেখানে এক বিন্দু জলও দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, পৃথিবীর সেই উষ্ণতম স্থানে শুকনো পাহাড়ের বুক চিরে জলের ভাণ্ডার নিয়ে নামল ঝর্ণা।
মৃত্যু উপত্যকা নামটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর বাস্তব পরিস্থিতি। যেখানে মানুষ বাঁচতে পারেনা। এতটাই গরম সেখানে। বিশ্বের উষ্ণতম স্থান এটিই। যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে উষ্ণতায় মানুষের টেকা সম্ভব নয়।
এখানে শুধুই শুষ্ক প্রান্তর সারা বছর একাকী পড়ে থাকে। মাঝখান দিয়ে একটি হাইওয়ে রয়েছে বটে। হাইওয়ে ১৯০ মৃত্যু উপত্যকা দিয়ে যাতায়াতের অন্যতম পথ। এখানে একটা অংশে পর্যটকদের ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পর্যন্ত। বাকি অংশ সারা বছর একা পড়ে থাকে।
হিসাব বলছে ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডা-র সীমান্তে অবস্থিত এই বিশ্বের সবচেয়ে শুকনো ও গরম স্থানটিতে সারা বছরে মেরে কেটে বৃষ্টি হয় ২.২ ইঞ্চি। যাকে নামমাত্র বলাই ভাল। সেখানে ঝর্ণা তো স্বপ্নের মত। কিন্তু সেটাই তো হয়েছে।
এখানে শুকনো পাহাড় থেকে নেমে এসেছে জলরাশি। যা ঝর্ণার মত নেমেছে শুকনো প্রান্তরের বুকে। কোথাও কোথাও তা হড়পা বানের রূপও নিয়েছে। যা কার্যতই হতবাক করে দিয়েছে মানুষকে।
এর পিছনে রয়েছে হ্যারিকেন কে-এর অবদান। এই হ্যারিকেনের জেরেই এখানে বৃষ্টি আর তার থেকে এই ঝর্ণার সৃষ্টি। অবশ্য চিরদিনের জন্য এই ঝর্ণা সৃষ্টি হয়নি। তবে যা হয়েছে তা মৃত্যু উপত্যকার ইতিহাস বদলে দিয়েছে। এমনকি হড়পা বানের জেরে উপত্যকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া কয়েকটি রাস্তাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে।