বৈবাহিক ধর্ষণকে বিবাহবিচ্ছেদের একটি অন্যতম যুক্তি হিসাবে দেখা হোক। এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী অনুজা কাপুর। তিনি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করে জানান, বিবাহ বিচ্ছেদের বেশ কিছু কারণ থাকে। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে বিবাহ বিচ্ছেদ চান। সেক্ষেত্রে অনুমোদিত বেশ কিছু যুক্তি রয়েছে। যেই তালিকায় বৈবাহিক ধর্ষণকে জায়গা দেওয়া হোক বলে দাবি করে আবেদন জানান অনুজা কাপুর।
আইনজীবী অনুজা কাপুরের দাবি ছিল, হাইকোর্ট যেন বৈবাহিক ধর্ষণকে বিবাহবিচ্ছেদের একটি কারণ হিসাবে দেখানোর জন্য আইন করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি আদালত। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। যদি এ বিষয়ে কোনও আইন করতেই হয় তবে তা আইনসভার কাজ। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগের কোনও কাজ নেই।
বর্তমানে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৫, মুসলিম পার্সোনাল ল্ (শরিয়ত) অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট ১৯৩৭ বা স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪, এর কোনওটিতেই বৈবাহিক ধর্ষণকে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়নি। আইনজীবী অনুজা কাপুর এই দাবি নিয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টি গ্রাহ্য করেনি। আবেদন শুনতেই চায়নি। তারপরই তিনি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানান। সেখানেও অগ্রাহ্য হল বিষয়টি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা