দিল্লি স্কুল এডুকেশন অ্যাক্ট, ১৯৭৩-এর ১৬৭ নম্বর আইন অনুযায়ী কোনও স্কুল মাইনে না দেওয়া হলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর নাম রোল নম্বর থেকে কেটে দিতে পারে। কিন্তু তার ট্রান্সফার সার্টিফিকেট বা টিসি ইস্যু আটকে রাখতে পারেনা। একটি জনস্বার্থ মামলার রায় দিতে গিয়ে এই নির্দেশ জারি করল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি স্কুল এডুকেশন অ্যাক্ট-এর আওতায় কোনও স্কুল ছাত্রছাত্রীর টিসি মাইনে না দেওয়ার অজুহাতে আটকে রাখতে পারবেনা।
যে স্কুলে একটি ছাত্র বা ছাত্রী পড়ছিল সেই স্কুল টিসি না দিলে ওই ছাত্র বা ছাত্রীকে চাইলেও অন্য স্কুলে ভর্তি করা যাবেনা। এদিকে দিল্লির একটি বেসরকারি স্কুলে এমনই ঘটনা ঘটেছে। ৯ বছরের কার্তিক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আর ৫ বছরের প্রিয়াংশ প্রি-প্রাইমারিতে পড়ে। তাদের ওই স্কুল থেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করতে পারছিলেন না তাদের বাবা-মা। মাইনে না দিতে পারার জন্য যে স্কুলে তারা পড়ছিল সেই স্কুল টিসি আটকে রেখেছিল। ১ লক্ষ টাকা মাইনে বাকি রয়েছে ওই ২ ছাত্রের বলে দাবি স্কুলের।
দিল্লি হাইকোর্টে বিষয়টি গড়ায়। দিল্লি হাইকোর্ট পুরো বিষয়টি শোনার পর সাফ নির্দেশ দিয়েছে ওই বেসরকারি স্কুলকে এ সপ্তাহের মধ্যে ওই ২ ছাত্রের টিসি ইস্যু করতে হবে। এভাবে কোনও বেসরকারি স্কুল মাইনে জমা পড়েনি বলে কোনও ছাত্রের টিসি আটকে রাখতে পারেনা বলেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা