সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ ২ বছরের শিশু
দিল্লি সরকারের করোনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল ২ বছরের শিশু। ওই ছোট্ট ছেলেটির দাবি ওই সিদ্ধান্তে তার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
নয়াদিল্লি : উপসর্গহীন হলে কারও করোনা পরীক্ষা হবে না। সহজ কথায় অ্যাসিম্পটোমেটিকদের করোনা পরীক্ষার দরকার নেই। দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ২ বছরের একটি ছোট্ট ছেলে। তার বাবার সাহায্যে সে এই অভিযোগ করেছে। তার দাবি, সে একটি একান্নবর্তী পরিবারে থাকে। পরিবারের অনেক সদস্যই এখন আনলক পর্বে রাস্তায় বার হচ্ছেন। কাজে যাচ্ছেন। তাঁদের কেউ যদি উপসর্গহীন হয়ে করোনা সংক্রমিত হন তাহলে তার ঝুঁকি থাকছে ওই সদস্যের থেকে সংক্রমিত হওয়ার।
ওই শিশুটি জানিয়েছে, এই উপসর্গহীনদের থেকে তার মত অনেক শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ওই শিশুটির আবেদনের শুনানি রয়েছে বুধবার ১০ জুন। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএন পাটিল ও বিচারপতি প্রতীক জালান-এর ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে। ওই ছেলেটি চাইছে উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রেও করোনা পরীক্ষা চালু হোক।
করোনা মোকাবিলাকে জোরদার করতে ওই শিশুটি চাইছে ফিরিয়ে আনা হোক উপসর্গহীনদের পরীক্ষা। তাতে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াও কিছুটা রোধ করা যেতে পারে। ২ বছরের ওই ছোট্ট ছেলেটি আবেদনে জানিয়েছে, উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের কোয়ারেন্টিন করা হচ্ছে, অথচ যাঁরা উপসর্গহীন হয়ে ঘুরছেন তাঁরা কিন্তু করোনা ছড়াচ্ছেন। শিশু ও বৃদ্ধদের সবচেয়ে বেশি তাঁদের থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা