২ স্কুল পড়ুয়ার পর এবার ডেঙ্গির শিকার হলেন ২ মহিলা। ১ জন বাঙুরের। অন্যজন বাগুইআটির। বাঙ্গুরের বাসিন্দা বছর ৪৫-এর শিলা সিকদার বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। তাঁকে বাইপাসের ধারে ১টি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছিল। সেখানেই রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি। অন্যদিকে বাগুইআটির বছর ৩০-এর পম্পা ভট্টাচার্য গত তিন সপ্তাহ ধরে জ্বরে কাবু। শেষমেশ তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারের ১টি হাসপাতালে। সেখানেই রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এখানেও মৃত্যু কারণ ডেঙ্গি।
বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপ নতুন নয়। কিন্তু এবার নাকি ডেঙ্গি তার চরিত্র অনেকটাই বদলেছে। আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে তার আক্রমণ। প্রথম দিকে সব উপসর্গ ধরা পরছে না। ফলে আমজনতা সাধারণ ভাইরাল জ্বর বলে ভুল ভাবছেন। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন জ্বর হলে কোন প্যারাসিটামল খেয়ে বাড়িতে ডাক্তারি না করে সোজা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তাছাড়া পরিস্কার জল সাতদিন জমা থাকলেই সেখানে ডেঙ্গির মশার বংশবৃদ্ধি হয়। তাই সেদিকে নজর রাখা। মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এসব জমা জল ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় চিন্তিত নবান্ন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় মঙ্গলবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।