ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে। এমন একটি অভিযোগ কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই মাথা চাড়া দিয়েছিল। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সবরকমভাবে সচেষ্ট। কিন্তু যে কোনও জ্বরে মৃত্যুকেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময়ে অজানা জ্বরে মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু বলা হচ্ছে ডেঙ্গি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরও রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ সরকারকে সমালোচনার থেকে রেহাই দেয়নি।
একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠছে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ নিয়ে, তেমনই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হলেও সরকার তা গোপন করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ সামনে আসছে। এই অবস্থায় এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে দাবি করেন, রাজ্য সরকার কোনও তথ্য গোপন করছেনা। তথ্য গোপনের প্রশ্নই নেই। স্বাস্থ্যভবনে প্রত্যেক দিন আপডেট থাকছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২৩৮ জন। গোটা পরিস্থিতির দিকে রাজ্য সরকার কঠোর নজর রেখেছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে পুরো শক্তি ব্যবহার করে সরকার ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর। যেসব পুরসভায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি সেসব পুরসভাগুলিকে মশা নিধনে আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যসচিব।
খতিয়ান তুলে ধরে এদিন মুখ্যসচিব দেখান শুধু পশ্চিমবঙ্গ বলেই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হচ্ছে। ক্রান্তীয় দেশে এ সময়ে এ ধরণের অসুখ স্বাভাবিক। আর এর কোনও ওষুধ নেই। মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে সঠিক সচেতনতা ও ডেঙ্গি হলে তাকে বাড়তে না দেওয়ার যাবতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করার ওপর জোর দেন তিনি। অযথা ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই বলেও দাবি করেন মুখ্যসচিব।